sponsor

sponsor

Slider

Search This Blog

Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Blog Archive

Recent Tube

Business

Technology

Life & style

Games

Sports

Fashion

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আরও অনেক মার্কিন সেনা নিহত..

ইরাকের মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। এ ঘটনায় দুই শতাধিক মার্কিন সেনা আহত হয়েছে। 
বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইরানের সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ইরাকে দুই মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইরান। কমপক্ষে ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় তেহরান টাইমস। 
মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরাকের ওই দুটি মার্কিন বিমানঘাঁটির নাম আল-আসাদ ও ইরবিল। সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছিল। প্রাথমিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার কথা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ নিয়ে নিহতের কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি যুক্তরাষ্ট্র। 
ইরানের এই হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে 'অল ওয়াজ ওয়েল' লিখে টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সজ্জিত সামরিক বাহিনী রয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিবৃতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।  
একইসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইট বার্তায় জানান, আত্মরক্ষার জন্য ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা যুদ্ধ চাই না, তবে যে কোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করবো।

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যা বললেন ৩ নায়িকা

রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করেছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তিন নায়িকা মৌসুমী, পপি ও অপু বিশ্বাস।
চিত্রনায়িকা মৌসুমী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার হওয়া উচিত। ধর্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের কঠোর শাস্তির দেয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘শুধু এ ঘটনাই নয়, দেশজুড়ে অসংখ্য ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এর বিচার যদি কঠোর ও দ্রুত কার্যকর করা হয়, তবে এসব ঘটনা কমে যাবে।’
‘যারা এই নোংরা কাজগুলো করছে তাদের মুখোশ খুলে দিতে হবে। কোনো ভাবেই তাদের ছাড় দেয়া উচিত না। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
আরেক নায়িকা পপি বলেন, ‘এভাবে আর কত! ধর্ষকরা ছাড় পায় বলে দেশে বারবার এমন ঘৃণিত কাজটি হচ্ছে। অপরাধীরাও সাহস পাচ্ছে। যে কোনো সময়, যে কোনো মেয়ে এমন ঘটনার শিকার হতে পারে।’
‘আমি এসব ঘটনার কঠোর শাস্তির দাবি করছি। দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। যাতে তাদের দেখে অন্যরা ভয় পায়।’
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে ধর্ষণের শিকার হন। এটা খুব দুঃখজনক। কিন্তু এর প্রতিকার হতে হবে। ধর্ষকদের এমন কোনো মর্মান্তিক শাস্তি দেওয়া উচিত যা দেখে অন্যরা এই ধরনের জঘন্য কাজ করতে সাহস পাবে না।’ ‘ধর্ষকদের মনে ভয় জন্মাবে। ধর্ষকদের ওপেন প্লেসে মৃত্যুদণ্ড দেয়া উচিত। এত প্রতিবাদ সত্ত্বেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না! কোনো মা, কোনো বোন, কোনো কন্যা ধর্ষিত হয়েছে- মানুষ হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?’
প্রসঙ্গত ক্লাস শেষে ক্যাম্পাস থেকে বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হন।
গভীর রাতে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
এরপর সোমবার সকালে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে যাওয়ার পথে একটি ঝোপের মধ্য থেকে ভিকটিমের বই, ঘড়ি, ইনহেলার ও চাবির রিংসহ বেশ কিছু আলামত পাওয়া যায়।
ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. ডা. সোহেল মাহমুদ।
এদিকে ধর্ষণের বিচার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঘটনার দিন রাতেই ধর্ষকদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিক্ষোভ করেছে।জানা গেছে, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বান্ধবীর বাসায় যেতে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
এরপর তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী বলেছেন, রোববার সন্ধ্যায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে চড়ে বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য একসঙ্গে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা এলাকায় বাস থেকে নামেন। সেখান থেকে অজ্ঞাত কয়েক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
নির্যাতনের একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরে পান ওই ছাত্রী। পরে পাশবিক নির্যাতনে আবারও জ্ঞান হারান।
রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। তিনি তার বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্যাম্পাসে যান। পরে তার বন্ধুরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এএসপি পরিচয়ে বিয়ে করে ধরা ছাত্রলীগ নেতা

সহকারী পুলিশ সুপারের (এএসপি) মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক নারীকে বিয়ে ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৬ জানুয়ারি, সোমবার বাকলিয়া থেকে আকিবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘ভুয়া ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে এএসপি পরিচয়ে এক নারীকে বিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আকিবের রাজনৈতিক পরিচয়ের বিষয় নিয়ে ওসি নেজাম উদ্দিন কোনো তথ্য দিতে না পারলেও দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম বোরহান উদ্দিন জানান, সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবকে গ্রেপ্তারের খবর তারা শুনেছেন।
বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানোর পর তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান বোরহান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, আকিবুল ইসলাম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি ছাড়াও তাহসান খান প্রিজন নামের আরেকটি ফেসবুক আইডি চালান। সেই আইডিতে আকিব নিজেকে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয় দিয়ে দুই সন্তানের জননী ওই নারীর সাথে পরিচিত হন।
ওই নারীর সাথে তার স্বামীর দাম্পত্য কলহের বিষয়টি আকিব জানতে পারেন। গত ৩ জুলাই ওই নারীর ডিভোর্সের পর আকিব বিভিন্ন সময়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং অন্তরঙ্গ ছবি তোলেন। ৭ অগাস্ট আকিব ওই নারীকে বিয়ে করে বিভিন্ন হোটেলে এবং বাকলিয়া রাহাত্তার পুল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অবস্থান করেন।
ওই নারীর অভিযোগ, আকিব চাকরিতে সমস্যার কথা বলে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ধার নিয়েও পরিশোধ করেননি। এছাড়াও ওই নারীর কাছ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন, তিন লাখ টাকায় মোটরসাইকেল কেনা ছাড়াও অন্তত ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আকিব।
আকিবের সাথে আরো নারীর সাথে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানতে পেরে ওই নারী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আকিব তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পরে খোঁজ নিয়ে আকিব পুলিশ কর্মকর্তা নন এবং তার সাথে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পারেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এদিকে আকিব গত ২৫ ডিসেম্বর ভাড়া বাসায় গিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকি দেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

ইরাক কি পারবে মার্কিন সেনা বহিষ্কার করতে?প্রতিশোধ নিতে

ইরান ও আমেরিকার মধ্যেকার উত্তেজনা এখন চরমে। এরমধ্যে মার্কিন সেনাদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার যে প্রস্তাব ইরাকের পার্লামেন্ট পাস করেছে সেটি নিয়েও রয়েছে পাল্টাপাল্টি ‍হুঁশিয়ারি, দেখা দিয়েছে সংশয়। আসলে কি ইরাক পারবে মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করতে?
গেল শুক্রবার বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর কমান্ডার হিসেবে পরিচিত কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
ওই ঘটনার পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর রবিবার ইরাকি পার্লামেন্টে দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রস্তাবটি পাস হয়। প্রস্তাবে ইরাকের সংসদ সদস্যরা দেশ থেকে সব বিদেশি সৈন্যকে ফেরত পাঠাতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে বলা হয়।
রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়, ‘যে কোনো বিদেশি সেনার ইরাকে অবস্থানের ইতি অবশ্যই টানতে হবে সরকারকে। বিদেশি সেনাদের কোনো কারণেই ইরাকের মাটি ব্যবহার, আকাশ ও নৌপথ ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।’
তবে এই প্রস্তাব এখন দেশটির সরকার যাচাই-বাছাই করে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে শেষ পর্যন্ত তারা মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করতে পারবে কিনা।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি জানিয়েছেন, তার সরকার সংসদের প্রস্তাব বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ইরাকের পার্লামেন্টে ভোটাভুটি আটকাতে জোর চেষ্টা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শেষ পর্যন্ত তাদের চেষ্টা সফল হয়নি বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে।
সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, এমন ধরনের ভোটাভুটি চূড়ান্তভাবে ইরাকের জন্য লাভজনক হবে না বলে মার্কিন কর্মকর্তারা ইরাকি নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন।
ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পার্লামেন্টের প্রস্তাবের ওপর শিগগির আলোচনা করতে বসবে বলে খবরমাধ্যমগুলো জানায়।
বাস্তবে কি ঘটবে তা বলা না গেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইরাকিদের মনোভাব কিছুটা নমনীয় হয়ে আসবে এবং এতে সরকার প্রস্তাবটির বাস্তবায়ন থেকে সরে আসবে, মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে জানায় সিএনএন।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সৈন্য না সরানোর ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতোমধ্যে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।
তবে ইরাকের পার্লামেন্ট এবং সরকার মার্কিন সেনাদের বহিষ্কার করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক কারণে ইরাক সরকার পিছু হটতেও পারে। কেননা যুক্তরাষ্ট্র ইরাককে বড় ধরনের অনুদান দিয়ে থাকে। আর সেটি বন্ধ হলে ইরাক পড়ে যাবে বিপদে। যেখানে অর্থনৈতিকভাবে ইরান নিজেই ধুঁকছে সেখানে ইরাককে সাহায্য করতে পারার ব্যাপারটি সম্ভাবনার খাতায় নেই।
এমন অবস্থায় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যোগ হলে ইরাকের অবস্থা আরো অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে বলে অনেকেই মত দিয়েছেন।
এছাড়াও বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর যদি মার্কিন সৈন্যরা ইরাক না ছাড়ে সেক্ষেত্রে ইরাক কিভাবে তাদেরকে বাধ্য করবে সেটাও বিবেচনায় নেয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে ইরাক পুরোপুরি ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে যাবে। এই ব্যাপারটিকে আবার বিরোধিতা করবে দেশটির সুন্নি ও ইরান বিরোধী রাজনৈতিক অংশ।
এমন পরিস্থিতি লিবিয়ার মতো দুই সরকার এবং গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশটি।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে সাদ্দাম হোসেনকে উৎখাতে বহুরাষ্ট্রীয় বাহিনীর অভিযান শুরুর পর ইরাকে ঘাঁটি গড়ে তোলে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৭ সালে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়ে ধাপে ধাপে অধিকাংশকে ফিরিয়ে আনা হলেও এখনো রয়েছে ৫ হাজার সৈন্য।

চারদিক থেকে ইরানকে ঘিরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে ইরান। তেল আবিব সহ মার্কিন ৩৫টি টার্গেট তাদের নিশানায়। প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তারা ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে টার্গেট করেছেন। যুদ্ধের এই দামামায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিমানঘাঁটি, বন্দর ও অন্যান্য স্থাপনায় উচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। ইরানের চারদিকে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়ে রেখেছে। দেশটির পশ্চিমপ্রান্তে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর কমপক্ষে ১০টি দেশে যুক্তরাষ্ট্র দাবার ঘুঁটির মতো সেনাদের সাজিয়ে রেখেছে। এসব দেশ হলো ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্ক।

আর পূর্বদিকে রয়েছে আফগানিস্তান। সব মিলিয়ে ইরানকে একেবারে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার ওপর শুক্রবার পেন্টাগন ঘোষণা দিয়েছে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরো ৩৫০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করছে। ইতালিতে সেনাদেরকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই বা প্রস্তুত।

ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ঘাঁটিতে এবং যুদ্ধজাহাজে অবস্থান করছে মার্কিন বহু হাজার সেনা সদস্য। অনেক দেশে যে সেনা সদস্য রয়েছেন তাদেরকে রাখা হয়েছে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রকে এসব পয়েন্টে আক্রমণ চালাতে পারে ইরান। আবার ইরানের বিরুদ্ধেও এসব স্থান থেকে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরাকে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৬০০০ সেনা সদস্য। মার্কিন কর্মকর্তারা সঠিক করে বলেন না যে, ইরাকে তাদের কি পরিমাণ সেনা সদস্য রয়েছেন। তবে ধরে নেয়া হয় যে, ইরাকের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০০ সেনা সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে গ্রিন জোন, আল আসাদ বিমান ঘাঁটি। ইরাকজুড়ে এখন উত্তেজনা চরম পর্যায়ে। এর ফলে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও স্থাপনার দিকে দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন সব নাগরিককে ইরাক ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এরপর শনিবার গ্রিন জোনে এবং বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলা হয়েছে। এ দুটি স্থানেই মার্কিন সেনাদের মোতায়েন করা আছে। তবে রকেট হামলায় কেউ আহত হয় নি।

সিরিয়ায় মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৮০০ মার্কিন সেনা। তবে কি পরিমাণে সেনা সেখানে রয়েছে সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। অক্টোবরে প্রেসিডেস্ট ট্রাম্প আকস্মিকভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার পরও সেখানে ৮০০ সেনা রয়েছেন। অক্টোবরে সেনা সংখ্যা ছিল ২০০০। সিরিয়া-জর্ডান সীমান্তে তানফ গ্যারিসন হলো যুক্তরাষ্ট্রের এখন একমাত্র অবস্থানস্থল। ব্রাসেলসভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সতর্ক করেছে এটা হতে পারে আক্রমণের বড় কেন্দ্র। কারণ, এর কাছাকাছি মোতায়েন রয়েছে ইরানি অথবা ইরান সমর্থিত বাহিনী।

আফগানিস্তানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৪০০০ সেনা সদস্য। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সতর্কতা, এই স্থানটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র হতে পারে। নভেম্বরে আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আকস্মিক সফরে এসেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কুয়েতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩০০০ সেনা। কংগ্রেশনাল রিসার্স সার্ভিসের মতে, কুয়েতের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে তারা। ১৯৯১ সালের পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের পর থেকে এই দুটি দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি।
 
জর্ডানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০০০ সেনা সদস্য। জর্ডানকে ঘিরে রেখেছে ইরাক, সিরিয়া, ইসরাইল, দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখন্ড এবং সৌদি আরব। এই দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের বড় একটি মিত্র হিসেবে দেখা হয়। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে এখানকার মুওয়াফফাক সালতি বিমান ঘাঁটি। এখন সেটার আধুনিকায়নের পরিকল্পনা চলছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে জর্ডানের বিমান বাহিনীর একজন সার্জেন্ট কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁটিতে গুলি করে হত্যা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা সদস্যকে। এ ঘটনাটি বিরল।

৩০০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে সৌদি আরবে। অক্টোবরে ইরানের সঙ্গে যখন সৌদি আরবের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে তখন সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরব ও ইরান দীর্ঘদিন আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ। এ দুটি দেশ ইয়েমেনে প্রক্সি যুদ্ধে লিপ্ত। সৌদি আরবে তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইরান।

বাহরাইনে মোতায়েন আছে যুক্তরাষ্ট্রের ৭০০০ সেনা সদস্য। যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌঘাঁটি স্থাপনের হোস্ট হলো বাহরাইন। সেখানে কয়েক হাজার সেনা সদস্য অবস্থান করছেন অথবা আসা যাওয়া করে। এই দ্বীপরাষ্ট্রটি সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র। ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের কট্টর অবস্থানের সমর্থক তারা। ২০১১ সালে শিয়াদের এক উত্থান দমন করে বাহরাইন। এর ফলে ইরান সরকারের সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্ব আরো প্রকট হয়।

ওমানে রয়েছে মার্কিন ৬০০ সেনা সদস্য। এ দেশটি মাত্র কয়েক শত মার্কিন সেনাকে অবস্থানের অনুমতি দিযেছে। ওমানের  কয়েকটি বিমান ও স্থল বন্দর ব্যবহারে মার্কিন বিমান ও যুদ্ধজাহাজকে অনুমতি দিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ওমান। আরব উপদ্বীপ অঞ্চলে ওমানের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। একেবারে সেই হরমুজ প্রণালীর পাশেই এর অবস্থান। ফলে কোনো কারণে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গেলে প্রথমেই ইরান এই হরমুজ প্রণালীতে পশ্চিমা স্বার্থে আঘাত করার চেষ্টা করবে। ইরানের সেই চেষ্টাকে প্রতিহত করতে ওমান যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত একটি অংশীদার। গত কয়েক মাসে তেলের ট্যাঙ্কার নিয়ে এই হরমুজ প্রণালীতেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০০০ সেনা সদস্য। এ দেশটিও হরমুজ প্রণালির পাড়ে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কৌশলগত একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এ দেশটিও। সাম্প্রতিক সময়ে এ দেশে ৫০০০ মার্কিন সেনা অবস্থানের অনুমতি পেয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে উঠেছে।

কাতারে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩০০০ সেনা। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হলো কাতারের আল উদেইদ। ২০১৮ সালে এই ঘাঁটিটি আধুনিকায়নে ১৮০ কোটি ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করে কাতার। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাদের দ্বারা অবরোধের বিরুদ্ধে যখন কাতার লড়াই করছিল তখনই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়।

তুরস্কে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০০ সেনা সদস্য। এর ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে অবস্থান করছে এসব সেনা। যদি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বেধে যায় তাহলে চারদিকে থেকে এসব সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প।